কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ নন্দিত নরকের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। এই উপন্যাসে নিম্নমধ্যবিত্ত এক পরিবারের যাপিত জীবনের আনন্দ বেদনা , স্বপ্ন , ট্রাজেডি মূর্ত হয়ে উটেছে। নগরজীবনের পটভূমিতে ই তার অধিকাংশ উপন্যাস রচিত। তবে গ্রামীণ জীবনের চিত্রও গভীর মমতায় তুলে ধরেছেন এই কথাশিল্পী। এর উজ্জ্বল উদাহরণ অচিনপুর, ফেরা, মধ্যাহ্ন। মুক্তি যুদ্ধ বারবার তার লেখায় ফুটে উঠেছে এই কথার উজ্জ্বল স্বাক্ষর জোসনা ও জননীর গল্প, ১৯৭১, আগুনের পরশমণি শ্যামলা ছায়া নির্বাসন প্রভৃতি উপন্যাস । গৌরীপুর জংশন যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ , চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক এ জীবন ও চারপাশকে দেখার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ মূর্ত হয়ে উঠেছ। বাদশা নামদার ও মাতাল হওয়ার অতীত ও নিকট অতীতের রাজরাজাড়া ও সাধারণ মানুষের গল্প ইতিহাস থেকে উঠে এসেছে। গল্পকার হিসেবে ও হুমায়ূন আহমেদ ভিন্ন দুটিতে উদ্ভাসিত।
নন্দিত নরকে
₹200.00
উপন্যাসটি খুব সাধারণ একটা নিম্নবিত্ত পরিবারের জীবন সংগ্রাম নিয়ে লেখা, যে পরিবারেরই মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়ে রাবেয়া। রাবেয়াকে ঘিরেই পুরো গল্পের পটভূমি। এছাড়া এ গল্পে আছে মা, বাবা, ভাই, বোন, শফিক সহ অনেকেই। চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় মেয়ে রাবেয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তার এক বছরের ছোট খোকা যে কিনা মাস্টার্স পরীক্ষার্থী, এর পর বেখেয়ালী স্বভাবের মন্টু, যে রাবেয়ার বাবার প্রথম বউ এর ছেলে আর সবচেয়ে ছোট মেয়ে রুনু। ছয় সদস্যের এ পরিবারটির সাথে থাকে তাদের বাবার ভার্সিটি জীবনের বন্ধু শফিক। শফিক সাহেবকে তাদের বাবা তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। শফিক একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন সেই সাথে রাবেয়াদের ভাই-বোনদের পড়ান।
উপন্যাসটিতে লেখক পাশের বাড়ির ধনী পরিবারের মেয়ে শিলু ও তার ভাই হারুনকেও তুলে এনেছেন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রাবেয়ার প্রতি হারুনের রয়েছে দূর্বলতা আর শিলুকে নিয়ে আছে খোকার মনে চাপাপড়া আবেগের ঘটা, যা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। পুরো গল্পটি জুড়েই আছে একটি পরিবারের দুঃখ ও কষ্টের এক বিষাদ বর্ণনা।
Reviews
There are no reviews yet.